বুধবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২২

ইন্টারনেট ও ইন্টারনেট এর ব্যাবহার

INTERNET





 

ইন্টারনেট কি :

ইন্টারনেট হলো পৃথিবী  জুড়ে বিস্তিৃত অসংখ্য নেটওয়ার্ক এর সমন্বয় গঠিত  একটি বৃহৎ নেটওর্য়াক সিস্টেম । সে হিসেবে ইন্টারনেটকে নেটওয়ার্ক এর নেটওয়ার্ক বলা হয় । ইন্টারনেট তথ্যের বিশাল এক ভান্ডার  । ইন্টারনেটকে তথ্যের মহাসমুদ্র বলা হয় । ইন্টারনেট  যোগাযোগ ও তথ্য আদান - প্রদান এর অন্যতম  মিডিয়া বা মাধ্যাম । ইন্টারনেট এর মাধ্যামে আমরা খুব দ্রুত তথ্য আদান -প্রদান করতে পারি । 


ইন্টারনেট পৃথিবী বিস্তৃত একটি বৃহওম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক  । একাধিক ছোট বা বড় নেটওয়ার্ক  এর সংযোগে তৈরি হয় একটি আন্তর্জাতিক  নেটওয়ার্ক  । ইন্টারনেট  এর সাথে বর্তমানে  পৃথিবীর  বেশিরভাগ  মানুষ যুক্ত হয়েছে । 


২০১৮ সালের  globe ডিজিটাল স্যুইট রিপোর্ট অনুসারে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৭.৫৯৩ বিলিয়ন এর মধ্যে  ৪.০২১ বিলিয়ন মানুষ সক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট ব্যাবহার  করেছে যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ %  । 


মে ২০১৮ পর্যন্ত , বিটিআরসির  হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ৮৫.৯১৮ মিলিয়ন  মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার  করেছে ্। এপ্রিল ২০১৩ এ ব্যবহারকারী ছিল  ৩৩.০৪ মিলিয়ন । 

২০১৭ সাল নাগাদ ইন্টারনেট এর সংযুক্ত ডিভাইস এর সংখ্যা তিনগুন বেড়েছে বলে  ইন্টেল কর্পোরেশন এর গবেষনায় প্রকাশিত হয়  ।


ইন্টারনেটের সূচনা :

আরপানেট দিয়ে  ইন্টারনেট এর প্রাথমিক যাএা শুরু হয়েছিল । ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের  ডিফেস্ন বিভাগ একটি গবেষনা প্রকল্প এর আওতায় দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরীখামুলক ভাবে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে ।  এ নেটওয়ার্ক এর নাম দেওয়া হয় আরপানেট । প্রথমিক পর্যায় গবেষনা এর কাজে ও বিশ্ববিদ্যালয় এ নেটওয়ার্ক উন্মুক্ত ছিল । কিছুদিন পর আরপানেট এর নাম পরিবর্তন করে ইন্টারনেট দেওয়া হয় । তারপর ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় । 


ইন্টারনেট এর ব্যবহার : 

প্রথম দিকে ইন্টারনেটকে শুধু তথ্য আদান -প্রদান  এর কাজে  ব্যবহার করা হতো ।   বর্তমানে ইন্টারনেট শুধু তথ্য আদান -প্রদান পযর্ন্ত সীমাবদ্ব নয় । ইন্টারনেট বর্তমানে অন্যন্য কাজে ব্যবহৃত হয় । যেমন : 


  • তথ্যের আদান  প্রদান  - ইন্টারনেট এর সহায্য আমরা খুব সহজে তথ্য আদান প্রদান করতে পারি । ইন্টারনেট তথ্য আদান প্রদান এক নতুন দিগন্ত মাধ্যাম হিসেবে এসেছে ।
  • তথ্য আহরন - ইন্টারনেট এর মাধ্যামে আমরা খুব সহজ তথ্য আহরন করতে পারি । ইন্টারনেট তথ্যের মহাসমুদ্র ।এখানে আপনি সবধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন । 
  • চ্যাট - ইন্টারনেট এর সাহায্য আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত  এ খুব সহজে চ্যাট বা বার্তা আদান প্রদান করতে পারি । 
  • অডিও / ভিডিও কনফারেস্ন - ইন্টারনেট এর সহায্য আমরা খুব সহজে  অডিও /ভিডিও  কনফারেস্ন  বা সেমিনার আয়োজোন করতে পারি । 
  • এডুকেশন : এডুকেশন ইন্টারনেটকে এক  নতুন মাএায় নিয়ে এসেছে । আমরা এডুকেশন রিলেটেড যেকোন তথ্য ইন্টারনেট থেকে আহরন করতে পারি । 
  • ই- কমার্স : ইন্টারনেট বানিজ্য   এর সকল কার্যক্রম  খুব সহজে করে দিয়েছে । ইন্টানেট দ্বারা বনিজ্য  পরিচালনা করা হলে তাকে ই -কমার্স বা ই - বানিজ্য বলে । 
  • ই- ব্যাংকিং : ইন্টারনেট ব্যাংকিং কার্যক্রম খুব সহজ করে দিয়েছে । ব্যাংকিং কার্যেক্রমে  ইন্টারনেট  যুক্ত হওয়ার পর আমরা খুব সহজে ব্যাংকিং সেবা পেতে পারি । 
  • ই - টেলিফোন : ইন্টারনেট যোগাযোগ সেক্টরে এক নতুন এক পদ্বতি নিয়ে এসেছে যা ই- টেলিফোন নামে পরিচিত ।
  • অন লাইন মিডিয়া : ইন্টারনেট  এর কারনে অন লাইন মিডিয়া  সৃষ্টি   হয়েছে । অন লাইন মিডিয়া এর কারনে আমরা যে কোন তথ্য খুব সহজে সংগ্রহ করতে পারি । 
  • ফ্রী সফটওয়্যার ডাউনলোড : ইন্টারনেট থেকে আমরা ফ্রী সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারি ।
  • ব্রাউজিং : ইন্টারনেট এর মাধ্যামে ব্রাউজিং করা যায় । 

ইন্টারনেট মানবজীবনে আর্শীবাদ রুপে এসেছে । ইন্টারনেট এর কারনে মানবজীবনে দৈনদিন্ন কার্যক্রম সহজতর হয়ে গেছে ।

0টি মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এতে সদস্যতা মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন [Atom]

<< হোম