ইন্টারনেট ও ইন্টারনেট এর ব্যাবহার
INTERNET |
ইন্টারনেট কি :
ইন্টারনেট হলো পৃথিবী জুড়ে বিস্তিৃত অসংখ্য নেটওয়ার্ক এর সমন্বয় গঠিত একটি বৃহৎ নেটওর্য়াক সিস্টেম । সে হিসেবে ইন্টারনেটকে নেটওয়ার্ক এর নেটওয়ার্ক বলা হয় । ইন্টারনেট তথ্যের বিশাল এক ভান্ডার । ইন্টারনেটকে তথ্যের মহাসমুদ্র বলা হয় । ইন্টারনেট যোগাযোগ ও তথ্য আদান - প্রদান এর অন্যতম মিডিয়া বা মাধ্যাম । ইন্টারনেট এর মাধ্যামে আমরা খুব দ্রুত তথ্য আদান -প্রদান করতে পারি ।
ইন্টারনেট পৃথিবী বিস্তৃত একটি বৃহওম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক । একাধিক ছোট বা বড় নেটওয়ার্ক এর সংযোগে তৈরি হয় একটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক । ইন্টারনেট এর সাথে বর্তমানে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ যুক্ত হয়েছে ।
২০১৮ সালের globe ডিজিটাল স্যুইট রিপোর্ট অনুসারে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ৭.৫৯৩ বিলিয়ন এর মধ্যে ৪.০২১ বিলিয়ন মানুষ সক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট ব্যাবহার করেছে যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫৩ % ।
মে ২০১৮ পর্যন্ত , বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে ৮৫.৯১৮ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যাবহার করেছে ্। এপ্রিল ২০১৩ এ ব্যবহারকারী ছিল ৩৩.০৪ মিলিয়ন ।
২০১৭ সাল নাগাদ ইন্টারনেট এর সংযুক্ত ডিভাইস এর সংখ্যা তিনগুন বেড়েছে বলে ইন্টেল কর্পোরেশন এর গবেষনায় প্রকাশিত হয় ।
ইন্টারনেটের সূচনা :
আরপানেট দিয়ে ইন্টারনেট এর প্রাথমিক যাএা শুরু হয়েছিল । ১৯৬৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেস্ন বিভাগ একটি গবেষনা প্রকল্প এর আওতায় দেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয় পরীখামুলক ভাবে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সংযুক্ত করে । এ নেটওয়ার্ক এর নাম দেওয়া হয় আরপানেট । প্রথমিক পর্যায় গবেষনা এর কাজে ও বিশ্ববিদ্যালয় এ নেটওয়ার্ক উন্মুক্ত ছিল । কিছুদিন পর আরপানেট এর নাম পরিবর্তন করে ইন্টারনেট দেওয়া হয় । তারপর ইন্টারনেট সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয় ।
ইন্টারনেট এর ব্যবহার :
প্রথম দিকে ইন্টারনেটকে শুধু তথ্য আদান -প্রদান এর কাজে ব্যবহার করা হতো । বর্তমানে ইন্টারনেট শুধু তথ্য আদান -প্রদান পযর্ন্ত সীমাবদ্ব নয় । ইন্টারনেট বর্তমানে অন্যন্য কাজে ব্যবহৃত হয় । যেমন :
- তথ্যের আদান প্রদান - ইন্টারনেট এর সহায্য আমরা খুব সহজে তথ্য আদান প্রদান করতে পারি । ইন্টারনেট তথ্য আদান প্রদান এক নতুন দিগন্ত মাধ্যাম হিসেবে এসেছে ।
- তথ্য আহরন - ইন্টারনেট এর মাধ্যামে আমরা খুব সহজ তথ্য আহরন করতে পারি । ইন্টারনেট তথ্যের মহাসমুদ্র ।এখানে আপনি সবধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন ।
- চ্যাট - ইন্টারনেট এর সাহায্য আমরা পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত এ খুব সহজে চ্যাট বা বার্তা আদান প্রদান করতে পারি ।
- অডিও / ভিডিও কনফারেস্ন - ইন্টারনেট এর সহায্য আমরা খুব সহজে অডিও /ভিডিও কনফারেস্ন বা সেমিনার আয়োজোন করতে পারি ।
- এডুকেশন : এডুকেশন ইন্টারনেটকে এক নতুন মাএায় নিয়ে এসেছে । আমরা এডুকেশন রিলেটেড যেকোন তথ্য ইন্টারনেট থেকে আহরন করতে পারি ।
- ই- কমার্স : ইন্টারনেট বানিজ্য এর সকল কার্যক্রম খুব সহজে করে দিয়েছে । ইন্টানেট দ্বারা বনিজ্য পরিচালনা করা হলে তাকে ই -কমার্স বা ই - বানিজ্য বলে ।
- ই- ব্যাংকিং : ইন্টারনেট ব্যাংকিং কার্যক্রম খুব সহজ করে দিয়েছে । ব্যাংকিং কার্যেক্রমে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ার পর আমরা খুব সহজে ব্যাংকিং সেবা পেতে পারি ।
- ই - টেলিফোন : ইন্টারনেট যোগাযোগ সেক্টরে এক নতুন এক পদ্বতি নিয়ে এসেছে যা ই- টেলিফোন নামে পরিচিত ।
- অন লাইন মিডিয়া : ইন্টারনেট এর কারনে অন লাইন মিডিয়া সৃষ্টি হয়েছে । অন লাইন মিডিয়া এর কারনে আমরা যে কোন তথ্য খুব সহজে সংগ্রহ করতে পারি ।
- ফ্রী সফটওয়্যার ডাউনলোড : ইন্টারনেট থেকে আমরা ফ্রী সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে পারি ।
- ব্রাউজিং : ইন্টারনেট এর মাধ্যামে ব্রাউজিং করা যায় ।
0টি মন্তব্য:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
এতে সদস্যতা মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন [Atom]
<< হোম